অনলাইন ডেক্স।
ছগির মোহাম্মদ শাহ্ (রহঃ) খলিফা ওয়াকফ্ এস্টেট এর ১১০০ একর ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে রিংভং বনজায়গীরদার ভূমিহীন সমবায় সমিতি লিমিটেড এর বিরুদ্ধে এবং তাদের সহযোগীতা করছে কিছু অসাধু বন কর্মকর্তা ও স্থানীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠি।
জানা যায় রিংভং বনজায়গীরদার ভূমিহীন সমবায় সমিতি লিমিটেড এর মো: রফিক আহমেদ, মোঃ সরোয়ার সহ আরো ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধদল বেআইনী চুক্তির মাধ্যমে বসতভিটা ও মৎস প্রজেক্ট লীজ দিয়ে এস্টেট এর জমি জবর দখল করার চেষ্টা করে এবং বাংলাদেশে ওয়াকফ্ প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত ছগির শাহ ওয়াকফ এস্টেট এর বর্তমান পরিচালনা কমিটির সহ-সাধারন সম্পাদক আনিসুল মোস্তফাকে প্রান নাশের হুমকি দেয়। অভিযুক্ত মোঃ রফিক আহম্মেদ (৪০) ছগীরশাঙ্কাঠা ১ নং ওয়ার্ডের মৃত কবীর আহম্মেদের পুত্র এবং সতিমির সদস্য, সমিতির সভাপতি মো: নাসির উদ্দিন এর ঘনিষ্টজন, মো: সরোয়ার একই এলাকার খলিলের পুত্র। এরা একাধিক অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামী বলে জানা যায়। এ ব্যপারে চকরিয়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান যে, ওয়াকফ এস্টেট কর্তৃপক্ষ ভূমি দখল সংক্রান্ত একটি সাধারন ডায়রি করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায়, রিংভং মৌজায়, ছগির মোহাম্মদ শাহ (রহ:) খলিফা ওয়াকফ এস্টেট (ইসি নং-১৬৭৪৯) নামীয় বিএস ৪ নং খতিয়ানভুক্ত ১১০০ একর ভূমি রয়েছে। উপজেলার ভুলহাজারা, ফাসিয়াখালি ইউনিয়নের অন্তর্গত রিংভং মৌজায়, বিএস রেকর্ডিয় ৪ নং খতিয়ানের ১১০১.৬১ একর জমি মুতাওয়াল্লী সূত্রে দরগাহ, মসজিদ ও মাদ্রাসা ছগির মোহাম্মদ শাহ্ খলিফা ওয়াকফ্ এস্টেটের নামে রেকর্ডভূক্ত হয়। ওয়াকফ এস্টেটের বর্তমান পরিচালনা কমিটি নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের মাধ্যমে উক্ত জমি ভোগদখলে থেকে আর্থসামাজিক অবকাঠামো উন্নয়নে দরগাহ এর পাশ্ববর্তি আবাদী জমিসমূহ চাষাবাদ পূর্বক দীর্ঘবছর ধরে ভোগ দখল ও পরিচালনা করে আসছে। ওয়াকফ্ এস্টেটের বর্তমান পরিচালনা কমিটির সহ-সাধারন সম্পাদক আনিসুল মোস্তফা জানান, ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুবাদে গত ২৪ ডিসেম্বর অনুমানিক রাত ৮ টার দিকে স্থানীয় চিহ্নিত অস্ত্রধারী রফিক আহম্মদ ও মো: সরোয়ারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ওয়াকফ্ এস্টেটের জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে প্রায় ৬০০ একর ভূমি দখলে নেয় এবং উপস্থিত ইজারাদারদের বাধার মুখে একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ফিরে যেতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের এবং ইজারাদারদে বিভিন্নভাবে হয়রানী ও প্রান নাশের হুমকি দিতে থাকে। এ ব্যাপারে সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার দরগাহগেটস্থ বাসভবনে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এমনকি তাকে মুঠো ফোনেও পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে ওয়াকফ্ এস্টেটের জমি সমূহ তারা বৈধ ও শান্তিপূর্ন ভোগদখলে আছে, কিন্তু সরকার পতনের পর এই সন্ত্রাসীগোষ্টিটি তৎপর হয়েছে। বর্তমান এস্টেটের পরিচালনা কমিটি ভূমি দস্যুদের কবল হইতে জমি দখলমুক্ত করতে ওয়াকফ প্রশাসক বাংলাদেশ ও বন অধিদপ্তর ঢাকা বরাবরে দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।