মোহাম্মদ সেলিম, রামু।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা রাজাপালং ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের টিএনটি এলাকার বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন(৫০) পিতা: মৃত সুলতান আহাম্মদ।তার ৪ ছেলে ৩ মেয়ে।তিনি দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে বসবাস করে যাচ্ছে ঐ এলাকায়।
রবিবার(২০ এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শাহাবুদ্দিন মূলত ভূমিহীন একজন হত দরিদ্র ব্যক্তি হওয়ায় ছোট্ট একটি ঘর করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন । হঠাৎ করে উখিয়া বনবিভাগের উচ্ছেদ নোটিশে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্কে রয়েছেন তার পরিবার। তিনি অভিযোগ করে বলেন,দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে আমি ও আমার পরিবার এই জায়গায় বসবাস করছি। অথচ হঠাৎ করেই বনবিভাগ আমাকে উচ্ছেদ করার জন্য নোটিশ দিয়েছেন বনবিভাগের লোকজন। এতে আমি এবং আমার পরিবার চরম হতাশায় হয়ে পড়েছি।আমরা টেকনাফ কক্সবাজার হাইওয়ে সড়কের সমতল ভূমিতে বসবাস করাটাই কি অপরের পড়ে।
সাম্প্রতি উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে ১২ এপ্রিল ২০২৫ তারিখের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকাল ১১ টায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মাধ্যমে শাহাবুদ্দিন স্ত্রী আনোয়ারা বেগম জানান,উখিয়া টেকনাফে ২০ লক্ষ রোহিঙ্গা বসবাস করতে পারলে আমি কেন সুন্দর করে জীবন যাপন করতে পারবো না?এই কেমন আইন?এবং আমি কোনো অবৈধভাবে জমি দখল করিনি,বরং শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি।
আমরা হাটি হাটি পা পা করে এই জায়গাতে বাড়ি নির্মাণ করে জায়গাটি একটি পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে বসবাস করে যাচ্ছি। বনবিভাগের এমন আচরণ আমাকে দিশেহারা করে তুলেছে।সরকারি বনভূমি রক্ষা জরুরি,তবে নিরীহ মানুষের ওপর অন্যায় চাপিয়ে দিলে আমরা কোথায় যাব? আমি কাগজপত্র জমা দিতে প্রস্তুত,কিন্তু দয়া করে আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু কেড়ে নেওয়া যেন না হয়।এই বিষয় নিয়ে আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আকুল আবেদন থাকবে আমরা যেন পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারি। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং বনবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি আকুল আবেদন থাকবে আমাদের বাড়িতে যেন উচ্ছেদ না করা হয়।যদি আমার বাড়িটি উচ্ছেদ করা হয় আমরা অসহায় হয়ে যাব।তাই আমার বাড়িটি উচ্ছেদ না করলে আমরা সুন্দর এবং শান্তিভাবে বসবাস করতে পারি অন্যতায় আমার পরিবার পরিজন বিপদে পড়ে যাবে।
এই বিষয় নিয়ে স্থানীয়রা মনে করেন,এ ধরনের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার। যেন কোনো নির্দোষ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হন এবং ভূমিহীন হয়ে পথের পাশে এসে দাঁড়াতে না হয়।