নুরুল আলম সিকদার ।
কক্সবাজারের রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়ন এর মধ্যম খুনিয়া পালং এলাকার মৃত আব্দুস ছালাম প্রকাশ লিবিয়া কোম্পানির পুত্র জালাল উদ্দীন তার ফুফুর জায়গা দীর্ঘ অনেক বছর যাবৎ জবর দখল করে রেখেছে।কিন্তু সেই জমি তার ফুফুরা শফিকুল ইসলাম বাহাদুরের কাছে বিক্রি করে ফেলে।ফলে ঐ জমির ক্রয় সূত্রে মালিক হন শফিকুল ইসলাম বাহাদুর।জমি ক্রয়ের পর ও দখল না ছাড়ায় অবৈধ দখলদার জালাল উদ্দীন দখল বিক্রির করার কথা বলে চট্টগ্রামের লোহাগড়া নিবাসী জনৈক শফিকুল ইসলাম বাহাদুর নিরুপায় হয়ে তার সাথে দশ লক্ষ টাকা জমির দাম নির্ধারণ করে ঐ লোকের কাছ থেকে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার এর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক ইলিয়াছের মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকা অগ্রীম নেয়।টাকা নেওয়ার পরও প্রতারণা করে জমির দখল না ছেড়ে আরো অতিরিক্ত টাকা দাবি করে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় তার সাথে আলোচনা ক্রমে গত (২২শে সেপ্টেম্বর)রবিবার বিকাল আনুমানিক ৪ টার দিকে রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়ন এর ৩নং ওয়ার্ডস্থ মধ্যম খুনিয়া পালং নূর আহমদ সওদাগরের বাড়ির সামনে এসে বাহাদুরের দুই জন প্রতিনিধি ও সাংবাদিক ইলিয়াস সহ যায়। এই বিষয় নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে উল্টো জালাল উদ্দীন আচার আচরণ খারাপ করে,পরে তার কাছ থেকে পাওনা টাকা চাইলেই ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ভূমি ধস্যূ ও সন্ত্রাসী জালাল উদ্দীন ও অজ্ঞাত ৪/৫ জন তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সাংবাদিক ইলিয়াসের উপর হামলা করে। এসময় তার পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আহত হয়ে তিনি মাটিতে লুটে পড়ে যায়। এসময় তার পকেটে থাকা নগদ টাকা,ও মোবাইল নিয়ে যায় তারা।তার চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তারা ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে ভিকটিম বাদী হয়ে জালাল উদ্দীন সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন আসামি করে রামু থানায় একটি এজহার দায়ের করেন।
এ বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মো: ইলিয়াস জানান,গেল রোববার বিকেলে মধ্যম খুনিয়াপালং এলাকায় একটি জায়গা সংক্রান্ত জেরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কিছু সন্ত্রাসীদের হাতে হামলার শিকার হয়।গেল ৬ মাস আগে আমার মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা জালাল উদ্দীনকে দেওয়া হয়।এই টাকার গুলো নেওয়ার পর থেকে আমার সাথে প্রতারণা করে।এই হামলায় আমি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছি। যারা আমাকে হামলা করেছে তারা আমার একটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১২ হাজার টাকা নিয়ে যায়।ঐদিন বিকেলে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে আমাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রামু হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে আমার একটি দাবী এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এই বিষয় নিয়ে রামু উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম সেলিম জানান,সাংবাদিক মো: ইলিয়াস দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতার পাশাপাশি ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি অত্যন্ত ভদ্, নম্র ও মানবিক। গেল রবিবারে সন্ত্রাসী কায়দায় মো: ইলিয়াছকে হামলা করা হয়। এ হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।সেই সাথে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি।
এ বিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী জনান,ঘটনা হওয়ার সততা পান, এই ঘটনায় ১ জনকে আসামি করে চার-পাঁচ জনকে অজ্ঞাত রেখে একটি এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে।ঘটনাটি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply