1. [email protected] : adminbackup :
  2. [email protected] : কক্স সময় টিভি : কক্স সময় টিভি
  3. [email protected] : Somoy@23 :
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
Latest Posts

জেল সুপার মোঃ শাহ আলম যোগদানের পর থেকেই পাল্টে গেল কক্সবাজার জেলা কারাগারের চিত্র।

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

মোহাম্মদ রমজান আলী।।
পাল্টে গেছে কক্সবাজার জেলা কারাগারের চিত্র। আগের চেয়ে বেড়েছে সেবার মান। পাশাপাশি কারা অভ্যন্তরের সামগ্রিক উন্নয়নের চিত্র ও স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে বিদ্যমান থাকায় মহাখুশি কারাবন্দিরা। বর্তমান জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খানের  সুদক্ষ পরিচালনায় কক্সবাজার জেলা কারাগার এখন দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত মডেল কারাগার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এমনটাই জানালেন সদ্য জামিনে মুক্ত বেশ কয়েকজন কারাবন্দি। তাদের মতে, বর্তমান জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খানের যোগ্য নেতৃত্বে ও কঠোর পদক্ষেপে কক্সবাজার জেলা কারাগার ব্যাতিক্রম এক নজির সৃষ্টি করেছে। 

রাখিব নিরাপদ, দেখাবো আলোর পথ” এ শ্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিতে কক্সবাজার জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খানের যোগ্য নেতৃত্বে কারাগারে ভেতরে বাহিরে কর্মরতরা একাগ্রচিত্তে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। জেলার শওকত হোসেন মিয়া ও বন্দীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। কক্সবাজার জেলা কারাগারে আগের চেয়ে বেড়েছে বন্দী সেবার মান। বর্তমান জেল সুপারের সুদক্ষ পরিচালনায় কক্সবাজার জেলা কারাগার এখন বাংলাদেশের মডেল কারাগার হিসেবে বাস্তবিক দৃষ্টান্ত বলে জানালেন সদ্য জামিনে মুক্ত ওসমানসহ একাধিক কারাবন্দি। পবিত্র রমজান মাস এলেই দেশের কারা অভ্যন্তরে বন্দীদের জন্য বাড়ে হরেক রকম সুযোগ সুবিধা।

ইফতার, সেহরিতে দেওয়া হয় হরেক রকম খাবার এবংবন্দিরা ধর্মীয় রীতি নীতি অনুসরণ করে রোজা নামাজের মাধ্যমে সেখানকার পরিবেশকে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর করে তুলে। জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান কক্সবাজার জেলা কারাগারে যোগদান করার পর থেকে বিধি বিধান অনুসরণ করেই কারাগার পরিচালিত হচ্ছে। কারা বিধি মোতাবেক প্রাপ্য সকল সুবিধা বন্দিদের সমানভাবে দেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে জেল সুপারের নেতৃত্বে কারাগারে শান্তি-শৃংখলা সৃষ্টি,কারা মনিটরিং,অসুস্থ বন্দিদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, কারা ক্যান্টিনে ন্যায্যমূল্যের ব্যবস্থা, টেলিফোনে কথা বলা সার্বক্ষণিক তদারকি,বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ,উন্নতমানের খাবার পরিবেশন,পয়: নিষ্কাশন ব্যবস্থা, সর্বোপরি বন্দীদের মৌলিক চাহিদাসমূহ পৌঁছে দিতে কাজ করছেন কারাগারের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। সততায় অবিচল থেকে মডেল কারাগারে রুপান্তর করতে কাজ করে যাচ্ছেন জেল সুপার ও জেলার।

এদিকে বর্তমানে কারাগারে চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য কক্সবাজার কারা হাসপাতালে ৩ জন চিকিৎসক নিয়োজিত রয়েছেন। এসব চিকিৎসক প্রতিদিন রোগিদের দেখেন এবং চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে। এদিকে সদ্য কারামুক্ত কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার করিম জানান, তারা একটি মামলায় বেশ কিছুদিন কারান্তরীন ছিল। বর্তমানে কারাগারের পরিবেশ বেশ চমৎকার। কারাগারে প্রত্যেক বন্দিদের সমান সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে কারা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে সদ্য কারামুক্ত চকরিয়া গান্ধিপাড়ার দোস্ত মোহাম্মদ ও মাষ্টার হাফেজ আহমদ জানান, কারাগারে উন্নতমানের খাবার দেয়া হয় বন্দিদের। কারা কর্তৃপক্ষ খুব সুন্দরভাবে কারাগারে সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। টেকনাফ নাইট্যং পাড়ার আব্দুর রহমান সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছেন) প্রতিদিন তিনি কারাগারের সকল ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন এবং কেউ যেন কোন অনৈতিক কর্মকান্ড করতে না পারে সেজন্য কারারক্ষীদের সচেতন হওয়ার নির্দেশ দেন। গতকাল দুপুরে জেলা কারাগারে কথা হয় রামুর মন্ডল পাড়ার হাসিনা বেগমের সাথে। তিনি এসেছেন তার কারাবন্দী স্বামীর জন্যই পিসিতে টাকা দিতে। তিনি জানান,স্বামীর সাথে সাক্ষাত করে এই কারাগারের ভেতরের পরিবেশের যথেষ্ট সুনাম শুনেছেন।

ডেপুটি জেলার আবদু সোবহান বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে কারা বন্দিদের প্রত্যক্ষ সেবা প্রদান করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কারাগারে যাতে বন্দীরা সমান ভাবে সুযোগ সুবিধা ও সেবা পায় সেদিকে আমাদের কঠোর নজরদারি রয়েছে. উল্লেখ্য কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দী ধারনক্ষমতা ৮ শ ৩০ জন। কিন্তু বর্তমানে সেখানে বন্দী রয়েছেন প্রায় ৪ হাজার।ধারন ক্ষমতার প্রায় ৫ গুন বেশি বন্দী নিয়ে মানব সেবায় নজির সৃষ্টি করা। উক্ত কারাগারে মায়ের সাথে বিনা অপরাধে জেল খাটা শিশুদের রোজ দুইবার তরল দুধ দেওয়া হয়। জেলে থাকা এসব শিশুদের জন্য রয়েছে ডে-কেয়ার (পরিচর্যা) সেন্টার। শিক্ষকরা রোজ তাদের প্রাথমিক ও মৌলিক শিক্ষা দিয়ে চলেছেন। কারাভ্যন্তরে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নকারীদের বেশিরভাগই হচ্ছেন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত ও স্বেচ্ছাশ্রমে আগ্রহীরা। 

কারাগারে ৩০০ জন বন্দি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৬ তলা ভবন উদ্বোধন হওয়ায় বন্দিদের দীর্ঘদিনের শোয়ার জায়গার সমস্যার লাঘব হয়েছে। কারাগারে মশা নিধনের জন্য পৌরসভা থেকে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে.এদিকে দেখা সাক্ষাতের পাশাপাশি বিধি মোতাবেক প্রতি সপ্তাহে একবার প্রত্যেক বন্দী পরিবারের সাথে মোবাইলে কথা বলতে পারে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান বলেন,কারাগার একটি স্পর্শকাতর সরকারী গুরুত্বপুর্ন প্রতিষ্ঠান।কারাগারে বিগত দীর্ঘ দিন ধরে আমি কর্মরত আছি। কাঠামো ও অবকাঠামোগতসহ কারাগারের সার্বিক কাজ করে যাচ্ছি। কারাগারের সেবার মান বাড়িয়েছি। কারাগারে মাদকের প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি।এখনো অনিয়ম-দুর্নীতির কোন প্রশ্নই আসে না।

যদি কারাগারের কোন সদস্য অনিয়মের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন কারা বন্দীরা সমাজ ও দেশের বোঝা নয়, কারামুক্ত হলেই তারা হবেন পরিবার ও দেশের সম্পদ। তাদের তাদের অতীতের সব উশৃঙ্খল পথ ছেড়ে অলোর পথে ফিরিয়ে আনতে এসব হাজতি-কয়েদির কারাভ্যন্তরে কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, বিনোদন, প্রশিক্ষণ দানসহ দেয়া হচ্ছে মোটিভেশন। তবে কোন কোন দুষ্টচক্র কক্সবাজার কারাগারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
অফিস: লিংক রোড সদর কক্সবাজার © All rights reserved © coxsomoytv.com
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট @ Themes Seller.