মোঃ শাহজাহান।।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৪নং রাজা পালং ইউনিয়ন এর ৬নং ওয়ার্ডের শিলের ছড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুস শুক্কুরের পুত্র মোঃআব্দুল্লা (২২)এর প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় একই এলাকার বাসিন্দা আনসার মিয়ার কন্যা মাদ্রাসা ছাত্রী তামান্না আক্তার ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ ওঠেছে। জানা যায় তামান্না আক্তার রাজা পালং বায়তুশ শরফ আদর্শ শাহ জব্বারিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী।
অপরদিকে মোঃআব্দুল্লাহ একজন মাদকাসক্ত ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক ও একাধিক মামলার আসামি। তামান্না আক্তার ও তার বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় প্রতি দিন তার বাড়ির সামনে দিয়ে চলাচল করে তারা এবং প্রায় সময় সে তামান্না আক্তার কে প্রেমের প্রস্তাব দিত এবং বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলত ও হামলার হুমকি দিত।
সে তার হুমকিকে তোয়াক্কা না করে নিয়মিত মাদ্রাসায় যেত ও সাভাবিক কাজ করত। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১০ই নভেম্বর ২০২৩ইং রোজ শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৩.০০ঘটিকার সময় তামান্না আক্তার ঘর হইতে বাহির হচ্ছিল এসময় তাকে মোঃআব্দুল্লাহ কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে। তখন তামান্না আক্তার বিষয়টি তার বাবা -মা কে বললে তারা দেখার জন্য এগিয়ে আসে। তাদের উপর মোঃআব্দুল্লাহ ও তার ভাই শহিদুল্লাহ,হামিদ, মোঃবাবুল এবং তার মা মরিয়ম খাতুন অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।
এসময় তামান্না আক্তার(১৫),আনসার মিয়া(৫৫) এবং জেবুন নাহার(৪৫) গুরুতর আহত হয়।তাদের আত্ন চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এবং এলাকার লোকজন তাদের কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
ঘটনার বিষয়ে মোঃআব্দুল্লাহর মা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং তিনি বলেন ঘটনাটি ভিটার সিমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংগঠিত হয়। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন যে মোঃআব্দুল্লাহ একজন মাদকাসক্ত নারী লোভী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক এগুলো তার জন্য সাভাবিক।
এবিষয়ে মাদ্রাসা সুপারের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন তামান্না আক্তার আমার মাদ্রাসার একজন মেধাবী ছাত্রী সে নবম শ্রেণিতে পড়ে তার বর্তমান রোল ০২ এই ঘটনায় তার ডান হাতে মারাত্মক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয় যার ফলে সে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারছে না আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি সাথে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
আহতের পরিবার নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে খুব সঙ্খিত তারা খুব ভয় পাচ্ছে।আব্দুল্লাহ এখানো হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। তার ভয়ে মেয়েকে অন্য জায়গায় সরিয়ে রাখছে বলেও জানান ভিকটিমের বাবা।
এবিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শোখ মোহাম্মদ আলী বলেন এখানে ভিকটিমের মা জিয়াবুন নাহার বাদী হয়ে অভিযোগ দাখিল করেছেন এবং এর ভিত্তিতে তদন্ত চলমান রয়েছে। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply