আব্দুর রাজ্জাক।।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড়ে সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান শালিক রেস্তোরাঁর মালিক নাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে কর্মচারীদের মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
বিতর্কিত শালিক রেস্তোরাঁ মালিকের হাতে নির্যাতনের শিকার হাসপাতালে সায়েদ বিন আবদুল্লাহ। শালিক রেস্তোরাঁ কতৃক তাঁকে নির্যাতনের খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা ছুটে গেলে তুলে ধরেন নির্মম নির্যাতনের কথা।
ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে আব্দুল্লাহ বলেন, মালিক কে বলে ৫মিনিটের জন্য গিয়েছিলাম বাহিরে। সেখান থেকে ফিরলেও আমার মালিক নাছির উদ্দীন বাচ্ছু আমার হাত পা বেঁধে মারধর করে। এর আগেও একইভাবে আমার ওপর নির্যাতন করেছে। মারধরের সময় ওরে বাপরে, ভাইরে, আল্লাহ দোহাই।অরে ভাইরে, ওরে আব্বারে ছেড়ে দে। তাঁরপরও আমি রক্ষা পাইনি।এই ঘটনা কাউকে না জানাতে আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। শুধু আবদুল্লাহ নয় তার মতো একইভাবেই নারী কর্মীদের ওপর করা হয় নির্যাতন।
অভিযোগ রয়েছে এর আগেও মদ পান করে তার রেস্তোরাঁর কর্মীদের ওপর নির্যতন।
পারভিন (ছদ্মনাম) বলেন, আমাদের হোটেলের স্যার প্রতিরাতে মদ পান করে এসে আমাদের মারধর ও গালিগালাজ করে। এবং শুধু এই ঘটনা নয় পাশাপাশি কুপ্রস্তাবও দেন নাছির ও তার ভাই হেলাল। আমরা একসাথে ৪জন চাকরি ছেড়ে দিয়েছি তাদের এসব নির্যাতনের কারনে। নির্যাতনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাদের একটি কক্ষে বসিয়ে রাখে। গণমাধ্যম কর্মীরা তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে পুলিশ কথা বলতে দেয় নাই। গণমাধ্যম কর্মীরাও তারা কখন বের হবে সে অপেক্ষায় বসে থাকলেও পুলিশ কঠোর নিরাপত্তায় গণমাধ্যম কর্মীদের এড়িয়ে তাদের নিয়ে যান।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রকিবুজ্জামান বলেন, শালিক রেস্তোরাঁ মালিক কর্মচারীকে মারধরের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসামীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একই অভিযোগ ছিল শালিক রেস্তোরাঁ মালিক নাছির পুত্র আরিফের বিরুদ্ধে। পরে এই ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করলে আরিফকে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় পৌঁছে দেন তার পিতা। শালিক রেস্তোরাঁ মালিক নাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় থাকলেও তাকে কেন আইনের আওতায় আনতে ব্যার্থ হচ্ছে পুলিশ সেটা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানান প্রশ্ন ঘুরছে।
Leave a Reply