সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
কক্সবাজারের উখিয়ায় মরিচ্যা বাজারে নুরুল আলম গংদের ২০ বছর ভোগ দখলীয় জমিতে থাকা দোকানপাট ভেঙ্গে চুড়ে লুটপাট করে নিয়ে যায় চিন্তিত সন্ত্রাসীরা।এতে চরম অসহায় হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
শনিবার( ২২ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে অর্ধশতাধিক লাঠিয়াল সন্ত্রাসীরা দোকানে এসে হামলা চালায়। পরে দোকানপাট ভেঙ্গে দিয়ে দোকানে থাকা মালপত্র গুলা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে অসহায় হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী দোকানদার ও মালিকেরা।এই ঘটনার বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবার একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে মরিচ্যা বাজার একটি সাংবাদিকদের অস্থায়ী কার্যালয়ে। এদিকেই জানা গেল হামলাকারীদের মধ্যে ১, আলা উদ্দিন। পিতা:নুর কবির সাং তেলী পাড়া ৭ নং ওয়ার্ড। ২, আবু নাছের। ৩,সাইফুল ইসলাম। ৪, আবু বক্কর সিদ্দিক।সর্ব পিতা নুরুল ইসলাম। ৫, নুরুল ইসলাম। পিতা মৃত আব্বাস আলী।৬, ইমরান সাদেক। ৭,মোঃ ফরহাদ কবির। ৮,মেহেরাজ খাতুন।
৯,শরীফ আজাদ। ১০,মিজবাহ আজাদ। উভয় পিতা আব্দুর আজিজ আজাদ। ১১,মুসলিম উদ্দিন সহ অজ্ঞাত নামা ৪০/৫০ জন এই মামলাতে অভিযুক্ত রয়েছে।
জানা গেল উখিয়া অনলাইন প্রেস ক্লাবের কথিত এক সাংবাদিক শরীফ আজাদ এর নেতৃত্বে এই হামলাটি করেছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। রাতের অন্ধকারে অর্ধ শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী মরিচ্যা বাজারে এসে বাজারের নিরাপত্তা প্রহরীকে পাত্তা না দিয়ে তারা গুলি বর্ষন করে ঐ এলাকাতে ত্রাস সৃষ্টি করে হামলাটি করা হয়। এ হামলাতে পাঁচ থেকে সাত দোকান মালামাল লুটপাট চালায়। একই সাথে দোকান সব ভেঙ্গে দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি এসব হামলা করার উদ্দেশ্য একমাত্র জমি দখল নেওয়ার জন্য।ঘটনার দিন এ বিষয় নিয়ে তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কল দেওয়া হলে,উখিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। আসার পরে একজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে উখিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়। এজাহারে উল্লেখিত ১১ জনকে আসামি সহ ৪০ থেকে ৫০ জন ব্যক্তিকে অজ্ঞাত নামা আসামি করা হয়। এই ঘটনায় সুস্থ তদন্ত করে প্রকৃত আসামিকে বের করে যেন আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করার জন্য ভুক্তভোগী পরিবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
এই বিষয় নিয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, উখিয়া থানার অন্তর্গত মরিচ্যা বাজার এলাকায় রাতের অন্ধকারে যে ঘটনাটি ঘটেছে এবং দোকানপাট ভেঙ্গে দিয়েছে, এই ঘটনায় আমরা অবগত হয়েছি, ওখানে ঘটনার দিন একদল পুলিশ সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়েছিল,তবে একজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারীরাদের বিপক্ষে একটি মামলা এজাহার করা হয়েছে। তবে আমরা প্রকৃত ঘটনাটি সুস্থ তদন্ত করে এবং যারা এই ঘটনায় লিপ্ত থাকবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।