মোহাম্মদ রমজান আলী।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের আওতায় রামু উপজেলার পানের ছড়া রেঞ্জের পানেরছড়া বিট ও তুলাবাগান বিটে সুফল প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ খ্রিস্টাব্দ আর্থিক সনে মোট ২৩ হেক্টর বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বাগান সৃজন করা হয় । ২৩ হেক্টর বাগানে মোট ৫৭৫০০ টি বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির চারা রোপণ পূর্বক বনায়ন কাজ নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন করা হয় । ২৩ সেক্টর বাগানের বিশেষত: তুলাবাগান বিটের ১৩ হেক্টর বাগানে ২ মিটার বাই ২ মিটার দূরত্বে চারা রোপণ করা হয়েছে যা সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় । জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় এই বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির দৃষ্টিনন্দন বাগান অনন্য ভূমিকা রাখবে এতে কোন সন্দেহ নাই । বাগানে শতভাগ চারা বিদ্যমান আছে যে কেহ সরেজমিনে গণনা করল সঠিক পাবেন তা সরেজমিন পরিদর্শনে প্রতিবেদক দেখতে পান ।চারাগুলি নির্দিষ্ট সময়ে লাগানোর কারণে সুস্থ, সবল ও সতেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে যা সকলকে অভিভূত করবে ।
এই বাগানে লাগানো বিরল ও বিপন্ন প্রজাতি গুলোর মধ্যে হচ্ছে সিভিট, ছাতিয়ান, উরিআম, আরশোল, সিনালা, বর্তা ,সিঁদাজারুল, মহুয়া, বাইট্টাগর্জন, রক্তচন্দন, বুদ্ধ নারিকেল, কাইঞ্জলভাদি, পিতরাজ, জয়না, পনিয়াল, হাড়গোজা বাদরলাঠি বৈলাম, পুতিজাম, ধারমারা, মোচ, সিনালা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য । সুফল প্রকল্পের আওতায় সৃজিত বনবাগান সমূহ দেখাশোনার জন্য ও তাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সিএফএমসি কমিটি গঠন করা আছে । সে সকল কমিটিতে প্রায় ৭০ জনের মতো স্থানীয় জনগণ সুবিধাভোগী হিসেবে ৪২০০০/- টাকা করে বিনিময় মূল্যে সেবা পেয়ে থাকেন । ঐ সিএফএমসি কমিটি থেকে ১৮ জনের এফপিসি নামক একটি দল সরাসরি বন পাহাড়াদার ও বন রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত । তাদেরকে বর্তমান সরকারের ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সুফল প্রকল্প হতে মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় সরাসরি নগদ একাউন্টে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয় । সব মিলিয়ে এটি একটি আদর্শ বাগান।